গাজায় প্রাণহানি ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই

গাজায় প্রাণহানি ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলিদের হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি। গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গাজায় ইসরায়েলের ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নৃশংস আগ্রাসনে এখন অন্তত ৩১ হাজার ৯২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত ফিলিন্তিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৯৬ জনে।

আল জাজিরা বলছে, শহরে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে তিনটি পৃথক ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৮ জনের জানাজা মধ্য গাজার একটি হাসপাতালের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ফুটেজে দেখা গেছে, দেইর আল-বালাহ-তে দাফনের জন্য গাধার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার আগে লোকেরা লাশের সামনে জানাজার নামাজ পড়েন।

এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলায় পাঁচ নারী ও ৯ শিশুসহ ১৯ জন নিহত হয়। ক্যাম্পে পৃথক হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। নিকটবর্তী বুরেজ ক্যাম্পে হামলায় তিন নারীসহ আটজন নিহত হন।

নুসেইরাত এবং বুরেজ হলো গাজার বেশ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবিরের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ১৯৪৮ সালের দিকে আনুমানিক ৭ লাখ ফিলিস্তিনি সেইসব এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছিল বা তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছিল যা এখন ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে অবিরাম হামলা অব্যাহত রয়েছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।