ঢাকা, ২০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : ইসরাইলি পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার বিতর্কিত ‘ইহুদি জাতীয় রাষ্ট্র’ বিল পাস করা হয়েছে। এতে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, দেশটিতে কেবল ইহুদিদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে।
অন্যদিকে, সংখ্যালঘু আরব সদস্যরা এটিকে জাতিগত ও বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করেছে।
তবে, সমালোচনা সত্ত্বেও এটিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিতর্কিত এই আইনের ফলে ইসরাইলের জাতীয় স্বার্থেই বসতি স্থাপন আরও বাড়াতে পারবে তেলআবিব। এ ছাড়া দেশটির অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে আরবির মর্যাদাও কমে যাবে।
এ ছাড়া নতুন আইন অনুযায়ী ‘পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত’ জেরুজালেম হবে ইসরাইলের রাজধানী।
এতে বলা হয়েছে, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে এক ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করল ইসরাইল। যার মধ্য দিয়ে ইহুদিরা নিজেদের পরিচয় নির্ধারণের সুযোগ পেল। ইসরাইলে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক থাকার পরও ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে পার্লামেন্ট সেটির স্বীকৃতি দিল।
ইসরাইলের পার্লামেন্টে আইনটি পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যখন আমাদের ভাষা, আমাদের জাতীয় সংগীত ও আমাদের জাতীয় পতাকার বিজয় রচিত হলো।
এদিকে, এই আইনের বিরোধিতা করে সংখ্যালঘু আরব সদস্যরা বলছেন এই আইনের মাধ্যমে দেশটির গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো।
প্রসঙ্গত, এর আগেই বিলটিতে অনুমোদন দেয় ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। নেসেটে আট ঘণ্টার উত্তপ্ত আলোচনার পর বিলটি পাস হয়। বিলটির পক্ষে ভোট দেন ৬২ জন সংসদ সদস্য। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫৫টি।
৯০ লাখ ইসরাইলি জনসংখ্যার ২০ শতাংশ ইসরাইলি আরব। আইন অনুযায়ী তাদের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে।
(জাস্ট নিউজ/জেআর/১০৫০ঘ.)