বায়তুল মোকাররমে কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন

বায়তুল মোকাররমে কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের প্রথম জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজার পর বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে এখন তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌরাইল গ্রামে নেয়া হচ্ছে। সেখানে কবির তৃতীয় জানাজা হবে।

কবির বড় ছেলে শরীফ মাহমুদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌরাইল গ্রামে রবিবার তার বাবাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।

কবি আল মাহমুদ গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। পাঁচ দিন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকার পর শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে চিকিৎসকেরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দেন। রাত ১১টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি আল মাহমুদ। তার পিতার নাম মীর আবদুর রব ও মাতার নাম রওশন আরা মীর। তার দাদা আবদুল ওহাব মোল্লা হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।

কবি আল মাহমুদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি মধ্যযুগীয় প্রণয়োপাখ্যান, বৈষ্ণব পদাবলি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রমুখের সাহিত্য পাঠ করে ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা শুরু করেন এবং একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।

সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকায় আগমন করেন। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।

এমআই