নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী দলের মাস্তানি

প্রধানমন্ত্রীর বহর নিয়ে প্রশ্ন করায় এনসিএন’র সাংবাদিক ফরিদের উপর আ'লীগের হামলা

প্রধানমন্ত্রীর বহর নিয়ে প্রশ্ন করায় এনসিএন’র সাংবাদিক ফরিদের উপর আ'লীগের হামলা

সাংবাদিক ডেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করায় উল্টো ক্ষমতাসীন দলটির নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন এনসিএন’র সাংবাদিক ফরিদ আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এই সাংবাদিক।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক ফরিদ আলম জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪১ জনের বহর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা এবং বসার বেঞ্চ উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধুর নামে গাছ লাগানো এসব নাম সর্বস্ব কর্মসূচী ছাড়া করোনার মধ্যে এই বিশাল বহর নিয়ে সফরের প্রাপ্তি কী?

এমন প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর না দিয়ে বরং তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। অতর্কীত হামলা চালানো হয় ফরিদ আলমের উপর। চারদিক থেকে আক্রমণের জন্য ঘিরে ধরা হয় তাকে। উপস্থিত অন্যসাংবাদিকরা এসময় মানববর্ম রচনা করে তাকে বাচানোর চেষ্টা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের উপর বুধবার নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলন আহবান করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি ও দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি বিপ্লব বড়ুয়া।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিএন’র মাইক্রোফোন দেখেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরসঙ্গী। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নেতা তেড়ে আসে সাংবাদিক ফরিদ আলমের প্রতি। অতর্কীত হামলা চালিয়ে কুইন্স প্যালেসে এক আতংকের পরিবেশ তৈরি করে দলটির নেতা-কর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের উপর এমন হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। বিষয়টি হতভম্ব করে দিয়েছে প্রবাসীদের। আর সাংবাদিক অঙ্গনে বইছে নিন্দার ঝড়।

নিজের উপর হামলা প্রসঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদ আলম বলেন, "সবাই আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। একইভাবে দুইবার ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। চারপাশ থেকে ঘিরে ধরার সময় টের পাই আমরা ওয়ালেট কেড়ে নিয়েছে দুই জন। সেখানে আমার আইডিকার্ড, টাকা এবং জরুরি কিছু জিনিস ছিল।"

তিনি বলেন, "পিছন থেকে লাফ দিয়ে ঘুষি, ধাক্কা, যে যেভাবে পারে এইসব করলো। আমার কাছে খারাপ লেগেছে মঞ্চে বসা নেতারা কেউ বারণও করলনা তোমরা এইসব করনা। সাংবাদিক যেসকল ভাইয়েরা ছিলেন তারা এসময়টাতে আমাকে সহযোগিতা করেছেন।"

সিএল/