কনক সারওয়ারের মালামাল ক্রোকের নির্দেশে সিপিজের তীব্র নিন্দা

কনক সারওয়ারের মালামাল ক্রোকের নির্দেশে সিপিজের তীব্র নিন্দা

নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারওয়ারের মালামাল ক্রোক করতে ঢাকার একটি আদালতের দেয়া আদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

মঙ্গলাবার আদালতের দেয়া এই আদেশের পর এক টুইট বার্তায় এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের এরকম অন্যায় আচরণ বন্ধের আহবান জানিয়ে টুইট বার্তায় আন্তর্জাতিক এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক কনক সারওয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে প্রতিহিংসামূলকভাবে গ্রেফতার করার পর সাংবাদিক কনকের সম্পদ বাজেয়াপ্তের যে আদেশ আদালত দিয়েছে আমারা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

একিসঙ্গে, এধরণের অন্যায়মূলক সাজা অবিলম্বে বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে সাংবাদিক অধিকার রক্ষার পক্ষে সোচ্চার এই সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারওয়ার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচারের কথিত অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর মাসে কনক সারোয়ার ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

২ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মঙ্গলবার পলাতক কনক সারওয়ার ও দেলোয়ারের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সম্পদ ক্রোকের আদেশ তামিল বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাংবাদিক কনক সারওয়ার। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে যান।

অন্যদিকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যা, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের আরেক কথিত অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন সরকার। তার বিরুদ্ধেও পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।