সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাণী

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাণী

ঢাকা, ২০ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তারেক রহমান সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলার প্রশংসাও করা হয় ওই বাণীতে।

বাণীতে মজলুম জননেতা তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরী জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যগণ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তারা পালন করে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগেও সশস্ত্র বাহিনী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে সংকট মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

তারেক রহমান আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। আজকের দিনে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারি বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।

তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোন আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। পরবর্তীতে বিএনপি সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহীদ জিয়ার গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও একে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থেকেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৯১৪ঘ.)