সেই শিশু অপহরণ ও হত্যাকারীর বাড়িতে আগুন

সেই শিশু অপহরণ ও হত্যাকারীর বাড়িতে আগুন

যশোরের মণিরামপুরে মুক্তিপণের দাবিতে শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত সেই কিশোর বিল্লালের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাড়িটিতে আগুন দেয়। আগুনে বাড়িটির তিনটি বসতঘর, আসবাবপত্র, একটি ভ্যানসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আগুন লাগার খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম ও পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম এনামুল হকের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে নিহত শিশু শিক্ষার্থী তারিফ হোসেনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজন হারাদের আর্তনাতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে তারিফকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ সময় শিশু তারিফ হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা খুনি বিল্লালের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এর আগেই ওই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় খুনি বিল্লালের পরিবারের সদস্যরা।

মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে শিশু তারিফের লাশ বাড়িতে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ জনতা অপহরণকারী বিল্লালের বাড়িতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিশু তারিফ হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে গত রবিবার উপজেলার ফেদাইপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া তারিফকে অপহরণের পর হত্যা করে বিল্লাল। পরে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিল্লালকে আটক করে লাশ উদ্ধারের অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বিল্লাল। এই ঘটনার পর থেকে বিল্লালের পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে মুক্তিপণের দাবিতে শিশুকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছেন শিশুটির পিতা সিদ্দিকুর রহমান।

একে/