সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হিজড়াদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হিজড়াদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হিজড়াদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার সন্ধায় মিরপুরে ও রাত ১০ টায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতলে এ ঘটনা ঘটে।

মিরপুর এলাকায় শেরে-ই-বাংলা এলাকার সোনালী গ্রুপ চাঁদা আদায় করতে যায়। এ সময় ২০-২৫ টি পর্দা নিয়ে পালানোর সময় সোনালীকে আটক করে জনগণ। পরে মিরপুর গ্রুপের রাখি সর্দারকে স্থানীয়রা ফোন করলে তাকে নিয়ে থানায় যায় রাখি।

মিরপুর মডেল থানার সামনে রাখি ও সোনালী গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এরপর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে উভয়পক্ষের লোক চিকিৎসা নিতে আসলে হাসপাতালের নিচতলায় দু গ্রুপের মধ্যে আবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

এতে দুই গ্রুপেরই ২০ জন আহত হয়।পরে শের-ই-বাংলানগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরে সোনালী গ্রুপের লোকজনকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাখি গ্রুপের লোকজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে সরদার রাখি হিজড়া গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ডিআইজি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে উত্তরণ ফাউন্ডেশনে কাজ করি। সোনালী গ্রুপের লোকজন আমার এলাকায় এসে জানালার পর্দা নিয়ে পালানোর সময় জনগণ তাদের আটক করে। আমাকে খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে সোনালী কে নিয়ে থানায় আসি। খবর পেয়ে সোনালী গ্রুপের লোকজন আমার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।

পরে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। সেখানে রড নিয়ে সোনালী হিজড়ার ৪০-৫০ জন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।এতে আমাদের অনেকে আহত হয়।রাখি আরো জানান, সোনালী গ্রুপের লোকজন মাদক কেনাবেচা ও মোবাইল ছিনতাই করে।

সোনালী গ্রুপের পলাশী হিজড়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সরদার সোনালীকে রাখি হিজড়া কিডনাপ করে।পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করি।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫-২০ জন আহত হয়।পরে পুলিশের সহায়তায় আমাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

এমজে/