৬৭টি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি

দেবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনিক কারচুপির অভিযোগ করলেন আ’লীগ প্রার্থী

দেবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনিক কারচুপির অভিযোগ করলেন আ’লীগ প্রার্থী

পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থীকে পরাজিত করার অভিযোগ এনে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মো: হাসনাত জামান চৌধুরী জজ। পঞ্চগড়ের রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত জামান চৌধুরী জজ গত ১০ই মার্চ অনুষ্ঠিত দেবিগঞ্জ উপজেলার মোট ৬৭টি ভোট কেন্দ্রের ভোট পুণঃগণনা করে সঠিক ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান।

দেবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী মনোনিত প্রার্থী অভিযোগ করেন, প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনার পূর্বেই তার এজেন্টদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তার প্রাপ্ত ভোটের হিসাবও সঠিকভাবে দেওয়া হয়নাই।

তিনি অভিযোগে বলেন, জনগণের ভোটে জয়লাভ করার পরও ভোট গণনায় অনিয়ম পূর্বক আমার বিপক্ষে ফলাফল প্রদান করা হয়েছে। দেবিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মো: আসাদুজ্জামান আসানের বাড়িতে গত ৯ই মার্চ রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুইবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ ফোর্সসহ হামলা চালায় এবং এবং আল্টিমেটাম দেন যে- উক্ত সময় হইতে ১৫ মিনিট সময় দেন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করতে হবে।

অভিযোগে তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা নাই, কোন লিখিত অভিযোগ নাই, গ্রেফতারি পরোয়ানাও নাই। উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট করতে না দেওয়া। শুধু তাই নয় চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা মার্কার এজেন্ট ফলাফলের তালিকা চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হেলমেট পড়িয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে ফলাফল পাওয়ার পর দেখা যায় ভোটকেন্দ্রে মোট ১১২২ ভোট গ্রহণ হয়। প্রাপ্ত ফলাফল ও বাতিল ভোটসহ দাঁড়ায় ১২০৫টি। অবশিষ্ট ৮৩টি ভোট বা ব্যালট পেপার গায়েবীভাবে ভোট হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, নতুন বন্ধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশে নৌকা মার্কার ভোট গ্রহণ হয় ৪১৮টি। সাইকেল মার্কায় ভোট হয় ৬৫০টি। নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনা করলে ফলাফল পরিবর্তন হয়ে যায়। নৌকা প্রতিক ৪৬৮টি ভোট, মোটর সাইকেল ৬০০ ভোট, দেবীগঞ্জ ডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ ঘণ্টা বিলম্বে ফলাফল দেয়া হয়। যা আগের মৌখিক ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্য নয়।

এছাড়াও টেপ্রীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতিকে ৪১৯ ভোট দেখানো হয়। অথচ প্রাপ্ত এজেন্টদের তথ্য মোতাবেক ২০০ ভোট কম দেখানো হয়। প্রশাসনিক বিভাগ প্রভাবিত হয়ে একাধিক অনিয়মের ঘটনা ঘটিয়ে সঠিকভাবে ভোট গণনা করেনি এবং ফলাফলও সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয় নাই বলে অভিযোগ করেন হাসনাত জামান চৌধুরী জজ।

এমআই