বনানীর অগ্নিকাণ্ড: বেজে ওঠল মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন

বনানীর অগ্নিকাণ্ড: বেজে ওঠল মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে আনা হয় সাতটি লাশ। তখনো তারা অজ্ঞাত। ঠিক এমন সময় একটি মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। আর তাতেই মিলল একজনের পরিচয়।

ওই যুবকের নাম ফজলে রাব্বি (২৭)। এক সন্তানের এই জনকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ে। মর্গে রাব্বির সঙ্গে থাকা ফোন বেজে উঠলে তা বের করে কথা বলেন লাশের সঙ্গে থাকা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মী। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এ কথা জানালেন রাব্বির বড় বোন শাম্মী আক্তার। পরে আরেক যুবকের লাশ শনাক্ত করেন তাঁর স্বজনেরা।

ফোনে শাম্মী আক্তার জানান, ফজলে রাব্বি দুর্ঘটনাকবলিত এফ আর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

লাশ শনাক্ত হওয়ার আরেক যুবকের নাম আনজির আবির (২৪)। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বলে জানিয়েছেন তার ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেন। দেলোয়ার জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে আবিরের সন্ধান করছিলেন। তিনি জানান, আবির ওই ভবনেই শেয়ারবাজার নিয়ে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। আবির রাজধানীর কল্যাণপুরে বসবাস করতেন।

ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, এই সাতজনের অধিকাংশই ধোঁয়ার আচ্ছন্ন হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে তাঁর ধারণা।

এমআই