তিন মাসেও নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেয়নি কেউ

তিন মাসেও নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেয়নি কেউ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কোনো প্রার্থী ও দল নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয়নি। এমনকি প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিয়েছেন কি দেয়নি সেটা জানতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছেও কোনো চিঠি দেয়নি ইসি।

প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা নেওয়ার ব্যাপারে ইসির তেমন আগ্রহ চোখে পড়েনি। যদিও অতীতে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব আদায় করতে প্রার্থীদের চিঠি দিয়ে তাগিদ দেওয়ার নজির আছে। সবে মাত্র ইসি খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর। ভোট শেষে ১ জানুয়ারি বিজয়ী প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশ করে ইসি। আইন অনুযায়ী, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার কথা। আর এই হিসাব বিবরণী ইসিতে যে তারিখেই এসে পৌঁছাক না কেন, তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ডাকঘরে গিয়ে রেজিস্ট্রার্ড করতে হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৪৪ এর সি ধারা অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীদের নাম গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব বিবরণী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। একই সময়ে হিসাব বিবরণীর একটি অনুলিপি সত্যায়িত করিয়ে ডাকযোগে (রেজিস্ট্রার্ড) ইসিতে পাঠাতে হবে।

এ ছাড়াও আইনের ৪৪ এর ডি ধারায় বলা আছে, কোনো দল ৯০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে না পারলে ইসি তাদের সতর্ক করে নোটিশ দিয়ে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে কোনো দল হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে ইসি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে। এই ধাপে ব্যর্থ হলে ইসি সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।

ব্যয়ের হিসাবের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব আমরা পাইনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও জমা দেননি প্রার্থীরা। তবে এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খানকে দায়িত্ব দিয়েছি।

এমআই