বাদ আসর সোনাগাজীর পারিবারিক কবরস্থানে রাফির দাফন

বাদ আসর সোনাগাজীর পারিবারিক কবরস্থানে রাফির দাফন

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

রাতে নুসরাত জাহান রাফির মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে। এর পর তাকে নেয়া হবে ফেনীর সোনাগাজীতে।

নুসরাতের চাচা নুরুল হুদা শামীম জানান, পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাকে দাফন করা হবে। বাদ আসর সোনাগাজী সাবের পাইলট হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসাছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকাপরা ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

এমজে/