‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে ক্ষুব্ধ হচ্ছে নাটোরবাসী

‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে ক্ষুব্ধ হচ্ছে নাটোরবাসী

পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের প্রস্তাবিত ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে ফুঁসে উঠছে নাটোরবাসী। নাটোরের রাজনীতিবিদ, ছাত্র-শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

সচেতন নাটোরবাসী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ মে পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চালু হচ্ছে বিরতিহীন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। ট্রেনটি বিরতিহীন নামে চললেও স্টপেজ দেওয়া হয়েছে মধ্যবর্তী দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড়সহ ৩টি স্টেশনে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী নাটোর জেলা শহরের উপর দিয়ে গেলেও এই ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয়নি। অথচ একমাত্র দিনাজপুর ছাড়া যেখানে ঠাকুরগাঁও থেকে সামান্য যাত্রী হয়, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা যাওয়ার যাত্রী নাই বললেই চলে। নাটোর, শান্তাহার আর জয়পুরহাটে যদি ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’র স্টপেজ না দেয়, তাহলে গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় ঈদ ছাড়া বাকি সারা বছর ফাঁকা যাবে ট্রেনটি।

শান্তিপ্রিয় নাটোরবাসীর মতে, একতা অথবা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে দিনাজপুরের পরে পুরো ৯২ সিটের এক বগিতে গড়ে ৩-৪ জনের বেশি যাত্রী থাকে না। অথচ প্রয়োজনীয়তা না থাকা সত্ত্বেও পঞ্চগড়বাসী বিরতিহীন ট্রেন আদায় করে নিচ্ছে। কিন্ত প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্বেও নাটোরবাসীর জন্য স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে নাটোরে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ঢাকার সিট যাত্রার ৬-৭ দিন আগেই শেষ হয়ে যায়, সেখানে এমন একটি বিরতিহীন ট্রেনকে নাটোর স্টপেজ না দেওয়া কোনভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না।

এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধের শহিদ স্মুতি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক মো. কামাল হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী নাটোর স্টেশনে ট্রেনের যাত্রী সবচেয়ে বেশি। অথচ নাটোরবাসীকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের বিরতিহীন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নাটোরে স্টপেজ না দিলে, তা নাটোরবাসী মেনে নেবে না। প্রয়োজনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে এই বঞ্চনার জবাব দেবে নাটোরবাসী।

উল্লেখ্য, নাটোর স্টেশনের মত শান্তাহার ও জয়পুরহাটেও স্টপেজ দেওয়া হয়নি এই ট্রেনের। এর মধ্যে সেখানকার বাসিন্দারা আন্দোলন এবং মানববন্ধন শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই তাদের স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনকে ১৫ মিনিট আটকিয়ে রেখে আন্দোলন করেছে শান্তাহার-নওগাঁবাসী।

এমআই