‘ধর্ষককে বাঁচাতে’ অন্য যুবকের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ে, সেই ওসি প্রত্যাহার

‘ধর্ষককে বাঁচাতে’ অন্য যুবকের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ে, সেই ওসি প্রত্যাহার

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারকে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রত্যাহার করে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার হালুয়াঘাট থানার পরির্দশক (তদন্ত) শ্যামল কুমার ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘ধর্ষককে আড়াল করতে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর সঙ্গে অন্য যুবকের বিয়ে’ শিরোনামে গত ২১ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন-এ সংবাদ প্রকাশের পর ওসি জাহাঙ্গীরের কৃতকর্ম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাফেজ ইলিয়াস নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে থানায় ডেকে নিয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরীর সঙ্গে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে জোর করে বিয়ে দেন ওসি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার। এরপর গত ১৯ এপ্রিল ওই কিশোরী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে এক নির্দোষ ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এসব অনিয়মের কারণেই গত ১৯ মে পুলিশ সদর দপ্তরের এক অফিস আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ আবিদ হোসেন গত ২২ মে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারকে প্রত্যাহার করে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে অফিস আদেশ প্রদান করেন। গত ২৩ মে থানার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তিনি বিদায় নেন।

এছাড়া ওসি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। হালুয়াঘাট থানায় পরিদর্শক (এসআই) থাকা অবস্থায় তিনি মামলা নিয়ে মানুষকে হয়রানি করতেন। একপর্যায়ে উপজেলার বাহিরশিমুল বাজারের মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে পুলিশের সিকিউরিটি সেলে বিভাগীয় মামলা করেন। এই মামলা দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর বাদীকে তার নিজ বাড়িতে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরে মীমাংসা করে নেন।

এ বিষয়ে মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমাকে ব্যাপক হয়রানি করার কারণেই এই অভিযোগ দায়ের করি। পরে আমার মার কাছে গিয়ে তার নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পর আমার দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেই।’

এমআই