‘আফগানরা এমনিতেই শক্তিশালী, এটা ছোট বিষয়’

‘আফগানরা এমনিতেই শক্তিশালী, এটা ছোট বিষয়’

আফগানিস্তানের ইনিংসের ৩৪তম ওভারের ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের পেসার লোকি ফার্গুসনের শর্ট লেন্থের ডেলিভারি বুঝতে গড়বড় করে ফেললেন রশিদ খান। শুরুতে এগিয়ে এসেছিলেন এক পা। এরপর ১৩৮ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা স্কিডি বলটির ভাষা যখন পড়তে পারলেন, ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। মাথা নিচু (ডাক) করে এড়িয়ে যাওয়ার শেষ একটা চেষ্টা করেছিলেন। তাতে লাভ হয়নি কিছু। বল সোজা আঘাত করে তার হেলমেটে। এরপর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার মতো সেই বলটি গিয়ে লাগে স্ট্যাম্পে। ফলাফল বোল্ড।

তবে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নেওয়ার উল্লাসে মাতোয়ারা হওয়ার পরিবর্তে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে বিচলিত হতে দেখা গেল। দৌড়ে ছুটে গেলেন তার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সতীর্থ রশিদের কাছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে একসঙ্গে খেলেন দুজনে। রশিদকে ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। তবে আফগান লেফ স্পিনারের শরীরী ভাষায় অস্বস্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। এরপর দলটির ফিজিও যান মাঠে। রশিদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যান মাঠের বাইরে। তখনও স্বাভাবিক মনে হয়নি ২০ বছর বয়সী রশিদকে।

এরপর কনকাশন টেস্ট (বল খেলোয়াড়ের হেলমেটে বা মাথায় লাগলে সতর্কতামূলক এই পরীক্ষা করার বাধ্যতামূলক নিয়ম করেছে আইসিসি)। ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দুটি টেস্টেই ব্যর্থ রশিদ। ফলে আর মাঠে নামা হয়নি তার। তাকে ছাড়াই বোলিং সারতে হয়েছে আফগানদের। কিন্তু মাঠে রশিদের অভাব ছিল স্পষ্ট। শনিবার (৮ জুন) টন্টনে ১৭২ রানে আফগানরা গুটিয়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ড জয় তুলে নেয় ৭ উইকেটে।

তবে রশিদের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো, ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের দলনেতা গুলবাদিন নাইব, ‘সে এখন ভালো অনুভব করছে। ডাক্তার তাকে মাঠে যেতে বারণ করেছিল। তবে সে ভালো অনুভব করছে। তার বিশ্রাম দরকার ছিল।’

নিজেদের পরের ম্যাচের আগে লম্বা বিরতি পাচ্ছে আফগানরা। আগামী ১৫ জুন তারা মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। তার আগেই রশিদ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন- বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছেন নাইব, ‘সে ভালো আছে। আফগানরা এমনিতেই শক্তিশালী, এটা ছোট বিষয়।’