ঘুষ না পেয়ে ছেলের সামনে পিটিয়ে বাবার পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

ঘুষ না পেয়ে ছেলের সামনে পিটিয়ে বাবার পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

বিশ হাজার টাকা ঘুষ না পেয়ে সাইদুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যক্তির পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী দুর্গাপুরে চাঞ্চল্যকর এ কাণ্ড ঘটে। আহত সাইদুল ইসলাম হোজা অনন্তকান্দি এলাকার বাসিন্দা। রাতেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়। বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাত নিয়ে বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন সাইদুল ইসলাম।

সাইদুল ইসলামের অভিযোগ, দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক হাফিজ বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দিয়েছেন। ২০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে এ কাণ্ড ঘটান এএসআই হাফিজ। ওই সময় তার ছেলে আসাদুল ইসলাম সেখানেই ছিলেন।

সাইদুল ইসলামের ভাষ্য, সম্প্রতি পারিবারিক বিরোধের জেরে পুত্রবধূ ছেলে আসাদুলের নামে থানায় অভিযোগ দেয়। এরপর সোমবার রাতে এএসআই আসাদুলকে গ্রেফতার করেন। তাকে থানায় না নিয়ে সোজা নিয়ে যান হোজা অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। খবর পেয়ে ছেলেকে ছাড়াতে সেখানে পৌঁছান তিনি। ওই সময় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলেকে ছেড়ে দিতে রাজি হন এএসআই হাফিজ।

তিনি ঘুষ দিতে রাজি হননি। এতে ছেলের সামনেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ করেন ওই এএসআই। এক পর্যায়ে পকেটে থাকা ৯০০ টাকা তুলে দেন ওই পুলিশ সদস্যদের হাতে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দেন। আহত সাইদুলকে উদ্ধার করে রাতেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেন স্থানীয়রা। পরে গভীর রাতে তার ছেলে আসাদুলকে ছেড়ে দেন এএসআই হাফিজ।

জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসফাক হোসেন বলেন, সাইদুল ইসলাম বাম পায়ের হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে হাড় ভেঙে গেছে। হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে।

জানতে চাইলে এই অভিযোগ অস্বিকার করেন এএসআই হাফিজ। তিনি দাবি করেন, সোমবার রাতে তিনি আসাদুল নামে কাউকে আটক করেননি। ঘুষ দাবি করে কাউকে নির্যাতনও করেননি তিনি।

এমন ঘটনা জানা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব। অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

এমআই