এশিয়ার সর্ববৃহৎ গ্যাসফিল্ড নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র ও বিদুৎ প্লান্ট বন্যায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় কুশিয়ারা ডাইকের বাধ ভেঙ্গে নবীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বাধ উপচে বিপদ সীমা অতিক্রম করে প্রায় ২০/২৫ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা দীঘলবাঁক, ইনাতগঞ্জ, আউশকান্দি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। গতকাল বিকালে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী জামারগাঁও গ্রামের ডাইক ভেঙে গ্রামঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ নজরদারি রাখছে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দীঘলবাঁক আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদগাজী ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। সরকারিভাবে কোনো প্রকার ত্রাণ এখানো এলাকায় পৌঁছায়নি।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কুশিয়ারায় বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রবাহমান স্রোতে শাখা নদী বিজনা ও বরাকের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে গ্রামঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। বাসা বাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার কার্যালয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্টোলরুম খুলেছেন। এখান থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বাঁধ মেরামতের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পানিবন্দী হাওর এলাকায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এনিয়ে কৃষকদের মাধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে যাবার ফলে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড ও বিদ্যুৎ প্লান্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপসহকারী এমএল সৈকত বলেন, ডাইক এলাকার সুরক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন দিবারাত্রি কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতায় সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ বিন হাসানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এমজে/