দপ্তরির কানের পর্দা ফাটানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

দপ্তরির কানের পর্দা ফাটানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে নির্যাতন করে কানের পর্দা ফাটিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রাতেই তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেন জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী মো. উবায়দুল্লাহকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে তাকে মারধর করেন এসআই জামিরুল ও তার সঙ্গে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্য। মাথা ও কানে তাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষির কারণে উবায়দুল্লার কানের পর্দা ফেটে যায়। পরে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উবায়দুল্লাহ। এর আগে গতকাল রোববার পুলিশের সদর সার্কেল অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ও রেজাউল কবিরের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তার পক্ষে অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য, এসআই জামিরুলের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে টাকা হাতানোর অনেক অভিযোগ আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে। ‘ধরো-খাও-ছাড়ো’ এই নীতিতে চলায় তিনি ওই এলাকায় ব্যাপক সমালোচিত। জেলা পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তার আত্মীয় ও নিজের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হওয়ায় জামিরুল ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলে অভিযোগ সদর উপজেলাবাসীর।

এমআই