জনসমুদ্রে ‘বাক্সবন্দি’ খোকা

জনসমুদ্রে ‘বাক্সবন্দি’ খোকা

দেশকে শত্রু মুক্ত করার দৃপ্ত শপথ নিয়ে যিনি রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শত্রুর নিশানা কিবা মৃত্যু কোনো কিছুই পরোয়া ছিলোনা তাঁর। গেরিলা যুদ্ধে ঢাকা মুক্ত করার যার গল্পটা ছিলো কিংবদন্তির। তিনি আজ ঢাকায় এসেছেন ‘বাক্সবন্দি’ হয়ে। ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার হিনমন্যতা আর তার শেষ ইচ্ছাকে অবমূল্যায়ন করা-কোনোটাই মেনে নেয়নি এদেশের মানুষ। বৃহস্পতিবারের পুরো দিনটাই একটি 'বাক্সবন্দি' কফিনের পাশে ছিলো পুরো ঢাকা। জনতার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা যেন আঁছড়ে পড়েছে সেই কফিনের পাশে। গেরিলা যোদ্ধা থেকে নেতা সাদেক হোসেন খােকার জন্য।

দেশের টানেই ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। ঢাকা মুক্ত করতে গেরিলাবাহিনী তৈরি করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ, দেশপুর্নগঠনে অংশ নেয়া, রাজনীতির নানা ধাপ অতিক্রম করে সকলের কাছে তিনি প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন খোকা ভাই হিসেবে। যে দেশের জন্য তিনি এতকিছু করলেন বিদায় মুহূর্তটা তার জন্য ছিলো বেদনার। শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হতে হয়েছে একজন লড়াকু মুক্তিযোদ্ধাকে। সে আক্ষেপের কথা সাদেক হোসেন খোকা বলে গেছেন নিজ মুখেই। যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারের সঙ্গে পাল্লা লড়া, আর অন্তিম মুহূর্তে যখন দেশে ফেরার, দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছে করেন। সেটা শুধু আক্ষেপ হিসেবেই রয়ে গেল। দেশে ফেরার জন্য তাকে কোনো ভিসা দেয়নি ক্ষমতাসীন সরকার। আর তাই আক্ষেপ করেই তিনি বলেছিলেন-"যেই বাংলাদেশ নিজ হাতে স্বাধীন করেছি, সেই দেশে আমাকে কি বাক্সবন্দি হয়ে ফিরতে হবে?"

এতোকিছুর পরেও আজকের ঢাকার চিত্রটা ছিলো ভিন্ন রকমের। দল-মত-শ্রেণী-নির্বিশেষে সব এককাতারে নেমে এসেছিল সবার প্রিয় এই খোকা ভাইয়ের জন্য। প্রিয় এই নেতাকে শেষবিদায় জানাতে বিমানবন্দর, সংসদভবন, নয়াপল্টন, নগরভবন, জুরাইনে নেমেছিলো লাখো জনতার ঢল। অশ্রুসজল চোখ ঘিরে ছিলো একটি কফিন। তাকে একনজর দেখতে যেমন ছুটে এসেছেন বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী, সহযোদ্ধা, তেমনি দল ভুলে ছুটে এসেছেন সব দলের নেতা-কর্মীরা, এসেছেন বন্ধুরা, রণাঙ্গনের সহযোদ্ধারা। আর সব ছাপিয়ে তার কফিনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আপামর জনসাধারণ অশ্রুসিক্ত হৃদয় নিয়ে।

যেভাবে ঢাকা আসলো কফিন

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২৬ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন। কফিন গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মির্জা আব্বাস। সেখান থেকে বেলা ১১ টায় মরদেহবাহী গাড়িটি পৌঁছায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত মঞ্চে।

জানাজার আগে সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে আপনারা যারা এসেছেন সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বাবার সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক ছিল।’

নিজ দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে না পারায় বাবার বুকে চাপা কষ্ট ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে এখানে এসেছেন। ২০১৭ সালে বাবা পাসপোর্ট নবায়ন আবেদন করেছেন কিন্তু সেটা পাননি।’

ইশরাক বলেন, ‘বাবা বলেছেন তার জানাজা যেন দেশে হয়। আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই বাবার মরদেহ দেশে আনতে সহযোগিতা করার জন্য। বাবা আমাকে বলেছিলেন, আমি বাক্সবন্দি হয়ে দেশে যাবো। ঠিকই বাক্সবন্দি হয়ে আসলো তার দেহটা। এ আমি কখনও ভুলতে পারবো না।’

খোকার দুই ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইসফাক হোসেন ছাড়াও সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর আলম রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ প্রমুখ জানাজায় অংশ নেন। সেখানে বিভিন্ন রাজনেতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খোকার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। শহীদ মিনারে খোকাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান, গণফোরাম থেকে আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল, মনোবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফকির আলমগীর, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ন্যাপ, ডাকসুর সহসভাপতি নুরুল হক নুর, ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পল্টনে জনসমুদ্র

শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা শেষে দুপুর সোয়া একটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে নিয়ে আসা হয় খোকার মরদেহ। লাশবাহী কফিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হলে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে জড়ো হন লাখো মানুষ। লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এলাকা।

রাজধানীর নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, কাকরাইল এলাকার সড়কে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের সমাগম। এ সময় ওই এলাকার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নয়াপল্টনে খোকার মরদেহ নিয়ে এলে প্রথমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রয়াত নেতার কফিনটি দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দলের পক্ষ থেকে কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কালো কাপড়ে মোড়া অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয় খোকার কফিন। নেতা-কর্মীদের কফিনের সামনে কাঁদতে দেখা যায়। বিএনপি মহাসচিবসহ নেতারাও ছিলেন অশ্রুসজল। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সকলের প্রিয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, দুই বারের নির্বাচিত ঢাকার সাবেক মেয়র, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এমন এক সময় চলে গেলেন যখন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। তিনি তাকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না। আজকে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনে সারা বাংলাদেশের মানুষ যখন অত্যাচারিত, লাঞ্চিত, সেই সময়ে যে মানুষগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সাদেক হোসেন খোকা তার অন্যতম। তিনি চলে গেছেন।

নয়াপল্টনে খোকার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন।

স্মৃতিময় নগরভবনে

নয়াপল্টনে জানাজা শেষে খোকার মরদেহ নেয়া হয় তার একসময়ের স্মৃতিময় ঢাকা সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে। মরদেহ সেখানে নেবার পর সিটি করপোরেশের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বিকাল ৩ টায় নগর ভবন প্রাঙ্গনে খোকার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানাজায় ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনসহ করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি (খোকা) দল মত নির্বিশেষে মানুষের জন্য সেবা করে গেছেন, এটাই ছিল তার আদর্শ। আমরা খোকার আদর্শ মেনে চলব।

তিনি বলেন, অবিভক্ত ঢাকার শেষ নির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা আমাদের মাঝে নেই। তার মৃত্যুতে ঢাকাসহ সারা দেশবাসী শোক প্রকাশ করেছে।

চিরনিদ্রায় খোকা ভাই

নগরভবনে জানাজা শেষে খোকার মরদেহ গোপীবাগে খোকার নিজ বাসায় নেওয়া হয়। বাসায় কিছুক্ষণ রাখার পর তার মরদেহ ধুপখোলা মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে তার শেষ নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এরপর জুরাইন কবরস্থানে মায়ের কবরে সমাহিত করা হয় তাকে।

উল্লেখ্য সাদেক হোসেন খোকা সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিট নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশেষায়িত হাসপাতালে মারা যান। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক থেকে বৃহস্পতিবার সকালে খোকার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।

একনজরে সাদেক হোসেন খোকা

জীবনের প্রতিটি পরতে যিনি রেখেছেন ঈর্ষনীয় সাফল্য তিনি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার প্রিয় খোকা ভাই। শুরুতে একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে তরুণদের নজর কাড়েন জনাব সাদেক হোসেন খোকা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরেই ১৯৭২ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়ে ক্লাবকে তিন বছরের মধ্যে তৃতীয় থেকে প্রথম বিভাগে উন্নীত করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনাব খোকা ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ও ফরাশগঞ্জ ক্লাবের গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান ছিলেন। মওলানা ভাষানীর অনুসারী বামপন্থি রাজনীতি ছেড়ে আশির দশকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন জনাব সাদেক হোসেন খোকা।

ঢাকার নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেটে বিএনপির কার্যালয় থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই অন্দোলনে ঢাকা মহানগর সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসন (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) থেকে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন। দায়িত্ব পান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ঢাকার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হলেও একমাত্র খোকা নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী হন।

১৯৯৬ সালে মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন ৭১ এ হানাদার বাহীনির বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া এই গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা । দায়িত্ব পান ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতির।

জিএস/