তুলছেন বেতন-ভাতাও

একাই দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি!

একাই দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি!

মানিকগঞ্জে হরিরামপুরে পারুল বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরেকটি পোস্ট অফিসের ইডিএ পদে। দুই প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রে তিনি নিয়মিত। তুলছেন বেতন-ভাতাও।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি একসঙ্গে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। কিন্তু হরিরামপুর উপজেলার করিমকান্দি-আদাশরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পারুল বেগমের বিরুদ্ধে এই বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষকতার সঙ্গে তিনি পাশের বলড়া ইউনিয়ন শাখা ডাকঘরের ইডিএ (এক্সটা ডিপার্টমেন্টাল এজেন্ট) পদে চাকরি করেন। প্রায় দুই যুগ ধরে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসলেও সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়ে। পারুল বেগমের স্বামী মো. আয়নাল হক ওই পোস্ট অফিসে পিয়ন পদে কর্মরত আছেন। স্ত্রীর কাজ বেশির ভাগ সময় তিনিই সামাল দেন। তবে বেতন-ভাতা তুলছেন নিয়মিত।

করিমকান্দি-আদাশরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ জানান, কিছুদিন আগে স্কুল চলাকালীন সময়ে তিনি বলড়া পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখেন পারুল বেগম সেখানে কাজ করছেন। তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে ফোন করে জানতে পারেন পারুল বেগম চিকিৎসার কথা বলে স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছেন। এরপরই পোস্ট অফিসে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসে।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাছ আলী জানান, একজন শিক্ষক যদি এভাবে প্রতারণা ও দুর্নীতি করেন তাহলে তার কাছ থেকে কী আশা করা যায়। শিক্ষার্থীদেরই বা তিনি কী শেখাবেন। এজন্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

প্রধান শিক্ষক কাজী মমতাজ পারভীন গণমাধ্যমকে জানান, পারুল বেগমের একসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়টি আগে তিনি জানতেন না। পরিচালনা কমিটির সদস্যরাই তাকে জানিয়েছেন। তাছাড়া পারুল বেগম নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হন। বিশেষ কারণ ছাড়া ছুটিও নেন না।