আজ থেকে ঢাকা-ভোলা রুটে চলবে ‘গ্রীন লাইন’ ওয়াটার বাস

আজ থেকে ঢাকা-ভোলা রুটে চলবে ‘গ্রীন লাইন’ ওয়াটার বাস

ঢাকা-ভোলা নৌরুটে প্রথমবারের মতো দিনের বেলায় চালু হতে যাচ্ছে গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস।

সোমবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে দুপুর দেড়টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসবে ৬০০ আসনবিশিষ্ট এম ভি গ্রীন লাইন-২।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন গ্রীন লাইন পরিবহন ও গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন। এ সময় গ্রীন লাইন পরিবহনের জিএম মো. আব্দুস সাত্তারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আলাউদ্দিন জানান, ঢাকার সদরঘাটের লালকুঠি ঘাট বিশেষ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় এবং ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে দুপুর দেড়টায় ছাড়বে এটি। গ্রীন লাইন-২-এর নিচতলায় ৪০০ আসন, দ্বিতীয় তলায় ২০০টি। এর মধ্যে নিচতলা বা ইকোনমি ক্লাসে আসন প্রতি ভাড়া ৭০০ টাকা, উপরতলার বিজনেস ক্লাসে ১০০০ টাকা। ঢাকা থেকে ভোলা পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা।

মো. আলাউদ্দিন জানান, ভোলার সঙ্গে রাজধানীসহ সারা দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ নেই। ভোলার সঙ্গে দিনে নৌপথে যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই। ভোলায় যাতায়াতের জন্য সবাইকে নির্ভর করতে হয় রাত্রীকালীন লঞ্চের ওপর। আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সেসব লঞ্চে কেবিন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সাধারণ মানুষ ওইসব কেবিন পান না। ঢাকা-বরিশাল রুটে গ্রীন লাইনের ওয়াটার বাস চালুর পর থেকে ভোলাতেও এ ধরনের ওয়াটার বাস চালুর বিষয়ে আমার কাছে অনেকে অনুরোধ করেছেন। তাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণের অংশ হিসেবেই এই রুটে গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস চালুর পরিকল্পনা করেছি। এখন মাত্র ৫ ঘণ্টায় দিনের আলোতেই ভোলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সম্ভব হবে।

মো. আলাউদ্দিন জানান, ২০১৫ সালে নির্মিত ক্যাটামারান এম ভি গ্রীন লাইন-২ দুই হালবিশিষ্ট। তাই কখনো কোনো কারণে দুর্ঘটনার শিকার হলেও যাত্রীদের গন্তব্যে বা নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো সম্ভব। দুই হালের কারণে প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যেও চলতে সক্ষম এটি। গ্রীন লাইন-২-এ ইলেকট্রো হাইড্রোলিক স্টিয়ারিং জিপিএস, রাডার, ফায়ার ফাইটিং, জীবন রক্ষাকারী উপকরণসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা রয়েছে। এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য ওয়াই-ফাইসহ থাকবে বিনামূল্যে খাবার সুবিধাও।

বাংলাদেশে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক গ্রীন লাইন পরিবহনের এই মালিক বলেন, ‘২০০২ সালে ৬টি ভলভো এসি বাস নিয়ে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আরামদায়ক পরিবহন সেবা চালু করি। আমাদের অনুসরণ করে অন্য পরিবহন কোম্পানিগুলোও পরে এসি বাস আনা শুরু করে। এখন ঢাকা থেকে দেশের প্রায় সব জেলায় এসি বাস চলছে। হানিফ, শ্যামলী পরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির ৬০০ এসি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। এর কৃতিত্ব আমার পাওনা, আমিই এর পথপ্রদর্শক।’

এমজে/