পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শাশুড়ি হত্যা: পুত্রবধূসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শাশুড়ি হত্যা: পুত্রবধূসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শাশুড়িকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ শারমিন আক্তারসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল না।

দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার কালীবৃত্তি গ্রামের মৃত তরিকউল্যার ছেলে মো. জামাল, মো. নাজিম ও আন্দারমানিক গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন।

জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সব প্রমাণ ও সাক্ষ্যগ্রহণে আসামিরা আদালতে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তাই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, জাকেরা বেগম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিনের স্ত্রী। জাকেরার ছোট ছেলে আবুল বাশার ঢাকায় ইলেকট্রিকের কাজ করেন।

বাশারের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী শারমিন জামালের সঙ্গে পরকীয়ায় সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানতে পেরে জাকেরা পুত্রবধূকে পরকীয়ার সম্পর্কটি বিচ্ছিন্ন করতে বলেন। এতে তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

২০১৬ সালের ১৪ জুলাই মধ্যরাতে বাড়ির কলাপসিবল গেট খুলে শারমিন অপর আসামিদের নিজের কক্ষে নিয়ে যান। তাদের কথা শুনে ঘুম থেকে উঠে শারমিনের কক্ষে গেলে জাকেরা আসামিদের দেখতে পান। এ সময় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে জাকেরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

পর দিন নিহতের দেবর খোরশেদ আলম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই আসামি জসিম উদ্দিনকে নতুন তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর থেকে আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

এমজে/