সুবর্ণচরেই আরও এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ

সুবর্ণচরেই আরও এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আরেক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ চরমজিদ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় সংঘবদ্ধ যুবকরা ধর্ষণ করে ২৮ বছর বয়সী ওই নারীকে। পরে তারা ওই নারীর বসতঘরে লুটপাট চালায়। স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন। গতকাল শনিবার বিকালে তাকে ভর্তি করা হয় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেন চিকিৎসক।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, দাদি শাশুড়ির মৃত্যুর কারণে তার স্বামী বাড়ি ছিলেন না। ঘরে তিনি একা ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে ৯ যুবক দরজা ভেঙে তার ঘরে ঢোকে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে অস্ত্র দেখিয়ে একজন মুখ চেপে ধরে। এর পর পাঁচ যুবক পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে এবং গলা ও কানের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়। তিনি ধর্ষণ ও হামলাকারী সবাইকে চেনেন। তারা এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত।

নির্যাতিতা আরও জানান, আজ রবিবার তার দেবরের জামিন চাওয়ার জন্য ঘরে ২০ হাজার টাকা রাখা ছিল। ধর্ষকরা টাকাগুলো নিয়ে গেছে। ধর্ষকদের তা-বে আশপাশের লোকজন এলেও ভয়ে কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

প্রতিবেশী এক নারী জানান, যুবকরা চলে যাওয়ার পর নির্যাতিতাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। গতকাল বিকালে পুলিশ এসে তাকে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়। থানা পুলিশের পরামর্শে বিকালে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও জানান, পুরো আশ্রয়ণ কেন্দ্রের আতঙ্ক স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাহিনী হিসেবে খ্যাত এই চক্র। তারা আশ্রয়ণের মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে তারা ওই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে।

চরজব্বার থানার ওসি সাহিদ উদ্দিন ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতিতাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমজে/