তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, অভিযুক্ত ৪ জনই পুলিশের গুলিতে নিহত

তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, অভিযুক্ত ৪ জনই পুলিশের গুলিতে নিহত

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দারাবাদে এক তরুণী পশু-চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুরিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশের গুলিতে মারা যান তারা। হায়দারাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে শাদনগরের চাতনপালি এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলিয়াস আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চেন্নাকেসাভুলু। এর আগে তরুণী ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ মামলায় তাদের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই চারজনের।

তবে কীভাবে পুলিশের গুলিতে তারা মারা গেলেন-তা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি পুলিশ। তবে একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত বুধবার রাতে হায়দরাবাদের শামশাবাদ টোল প্লাজা এলাকায় এক তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে চার যুবক। ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে হত্যা করে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার সকালে হায়দরাবাদের সামশাবাদ টোলপ্লাজার সামনে স্কুটি রাখেন ওই তরুণী চিকিৎসক। সেখানে এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোলপ্লাজার সামনে আসেন তরুণী চিকিৎসক। তিনি দেখেন, তার স্কুটির চাকা পাংচার হয়ে গেছে। সেই সময় দুজন লরিচালক এবং খালাসি তরুণীর কাছে আসেন। তারা তার স্কুটির চাকা সারিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ওই চিকিৎসক।

স্কুটি সারাতে নিয়ে যান দুজন। কিন্তু গ্যারেজ বন্ধ থাকার কথা বলে স্কুটি নিয়ে ফিরে আসেন তারা। সেই সময় বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন চিকিৎসক। তিনি শেষবারের মতো বোনকে বলেন, তার ভয় লাগছে।

একপর্যায়ে তরুণীকে টেনেহিঁচড়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যান ধর্ষকরা। এরপর সেখানে একে একে চারজন ধর্ষণ করেন তাকে। ধর্ষণের ফলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।

ধর্ষণের পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে লরির কেবিনে তুলে নেওয়া হয় তরুণীকে। পুলিশ রিমান্ডে ধর্ষণকারীরা জানিয়েছেন, লরিতে করে তরুণীর লাশ নিয়ে যাওয়ার পথে চারজন আবারো তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর জোগাড় করা হয় পেট্রল। পরে স্থানীয় এক ব্রিজের নিচে নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তরুণীর লাশ।