দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত হলো ঐক্য: ড. কামাল

দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত হলো ঐক্য: ড. কামাল

‘আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্বাধীনতা। জনগণের ঐক্যের শক্তিতে যেটা অর্জন করলাম। স্বাধীনতা অর্জনের পরে আমাদের কী কী লক্ষ্য, আমরা কী ধরনের সমাজ চাই, সমাজ পরিবর্তন চাই, ব্যবধান আছে ধনী এবং গরীবের মধ্যে, তা থেকে যদি আমরা মুক্ত করতে চাই সমাজকে, তাহলে সবাইকে এক হতে হবে। সমান সুযোগ সবাইকে নিশ্চিত করা উচিত, আত্মবিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত সংবিধানেই এই চিত্রটি তুলে ধরা আছে। এখন এটা সবাই মিলে করতে হবে।’- গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেছেন।

সোমবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এসব কথা বলেন তিনি।

ড. কামাল হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতাকে অসম্ভব মনে করা হতো, একাত্তরে সারা পৃথিবী বলেছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারবে না। কিন্তু আমরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলাম। এখন যেটা হচ্ছে, আমাদের অনেক রকম সমস্যা আছে। এগুলো মোকাবিলা করার জন্য সুষ্ঠু রাজনীতির প্রয়োজন আছে। একাত্তরে আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, তা গড়তে জাতীয় ঐক্য, জনগণের ঐক্যের প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি বিভক্ত হয়ে থাকি, তাহলে যারা শোষণ করতে চায়, দুর্নীতি করতে চায়, তারা সুযোগ পেয়ে যায়। এগুলোকে মোকাবিলা করতে হলে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে। একাত্তরের অসম্ভবকে আমরা সম্ভব করেছিলাম। এখন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত হলো ঐক্য, জনগণের ঐক্য। আর সুস্থ্য রাজনীতি.... বিভক্তির রাজনীতি যদি হয়, তখন কিন্তু মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। আমরা একে অন্যের পেছনে লেগে থাকি। কিন্তু মূল যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সেগুলো মোকাবিলা করি না। আমাদের আবেদন, ঐক্য, জনগণের ঐক্য।

রাজাকারদের তালিকার বিষয়ে কামাল বলেন, যারা এই জঘন্য অপরাধ করেছেন, তাদের দোষী চিহ্নিত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, এত দেরি হলো কেন? ৫০ বছর পরে কেন? এ সরকার তো ১০ বছর ধরে আছে। এতদিন কী হলো? মানে এ ১০ বছরে কেন এটা সম্ভব হলো না? আরও ৫০ বছর লাগবে না-কি এগুলো করতে?

এমজে/