হয়রানির অভিযোগে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্তৃপক্ষকে জরিমানা

হয়রানির অভিযোগে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্তৃপক্ষকে জরিমানা

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী “দ্য আটলান্টিক ক্রুজ” নামে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ কর্তৃপক্ষকে পর্যটক হয়রানির অভিযোগের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হ্নীলার দমদমিয়া (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ নৌ-বন্দরে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযুক্ত পর্যটকবাহী জাহাজটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে পড়ার পরও জাহাজ কর্তৃপক্ষ টিকেট বিক্রি করে পর্যটকদের হয়রানি করার অভিযোগে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনসুরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পুলিশের (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ, নৌবন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ভূঁইয়া, অপারেটর মো.জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আবুল মনসুর বলেন, টেকনাফে দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে দৈনিক বর্তমানে ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু এর মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় জাহাজগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত বুধবার একটি বৈঠক করা হয়েছিল। সে বৈঠকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন,পর্যটক হয়রানি ও পর্যাপ্ত লাইফ জ্যকেট রাখার নির্দেশনা দিয়ে সর্তক করা হয়। এ আদেশ অম্যান্য করায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়েছে। যাত্রী হয়রানির অভিযোগে “দ্য আটলান্টিক ক্রুজ” নামে জাহাজের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১ নভেম্বর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি দোয়েল, গ্রিন-লাইন-১, বে-ক্রুজ ও এমভি পারিজাত নামে ৮টি জাহাজকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে এমভি শহীদ সালাম নামে আরও একটি জাহাজ অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

গত বছর অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ নৌপথে চলাচলকারী জাহাজগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয়টি প্রতিদিন তদারক করা হচ্ছে। কোনও জাহাজ কর্তৃপক্ষ আদেশ অম্যান্য করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমজে/