এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে এক ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে হয়েছে ৯৮ জন পরীক্ষার্থীকে। নীলফামারী সদরের রাবেয়া বালিকা নিকেতন কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও কক্ষ পরিদর্শকের ভুলে এঘটনাটি ঘটে। এমন ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তবে কেন্দ্র সচিব বলেন, ‘সামান্য ভুলে তেমন সমস্যা হয়নি পরীক্ষার্থীদের’।
কেন্দ্রসচিব ও রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মহাফিজুর রহমান খান জানান, তার কেন্দ্রে ২০২০ সালের মোট ৬১৯ জন এবং ২০১৮ সালের পুরনো সিলেবাস অনুযায়ী একজনসহ মোট ৬২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, এবারের ৬১৯ জন পরীক্ষার্থী বিপরীতে ১ হাজার ২০টি প্রশ্নপত্র এবং ২০১৮ সালের পুরনো সিলেবাসের একজন পরীক্ষার্থীর জন্য ১২০টি প্রশ্নপত্র বরাদ্দ পাওয়া যায়। কেন্দ্রের ৮ ও ৫ নম্বর কক্ষে এবারের পরীক্ষার্থীদের কাছে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ভুলবশত ৯৮ জনের কাছে সরবরাহ করা হয়।
পরীক্ষা চলাকালীন এক ঘণ্টা পরে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থী নীলফামারী কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বিষয়টি ধরতে পারে। সে ওই কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। তারপর তাৎক্ষণিকভাবে ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্নপত্রগুলো ফেরত নেয়া হয়।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, আমরা যে খাতায় ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম সেটিতেই আমাদের বাড়তি পেজ লাগিয়ে দিয়ে এবারের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পুরানো সিলেবাসের উত্তরগুলো কেন্দ্রসচিব লাল কালি দিয়ে কেটে দেন। এতে আমরা ফলাফল নিয়ে শংকায় আছি।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের সাথে কথা বলে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর এবারের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয় তাদের।
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কার ভুলে এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
