৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ নয়, মারধরের প্রমাণ মিলেছে

৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ নয়, মারধরের প্রমাণ মিলেছে

খুলনায় জিআরপি থানার পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা গণধর্ষণের অভিযোগটির প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে রাতভর এক নারীকে আটকে রেখে মারধরের প্রমাণ মিলেছে। আজ দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান জানান, খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে রাতভর আটকে রেখে ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি পিবিআই। এই ধর্ষণ মামলায় পিবিআই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

তবে ওই নারীকে থানায় রেখে পুলিশের মারধর করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। এরপর ওই নারীকে ডিএনএ টেস্টের পরামর্শ দিলেও তিনি এই টেস্ট করাতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২রা আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়।

৪ঠা আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে ওই নারী অভিযোগ করেন, জিআরপি থানায় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ২রা আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা জিআরপি থানায় ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এসআই নাজমুল হাসান, কনস্টেবল মিজান, হারুন, মফিজ, আব্দুল কুদ্দুস, আলাউদ্দিন, কাজল, দুই নারী কনস্টেবলসহ বেশ কয়েকজন।

এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।