দলকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি

দলকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপকহারে কারচুপির সাথে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টিকে চিহ্নিত করেছে বিএনপি। এর জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংগঠনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এর বাইরে আগামী শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঘোষিত সমাবেশ সফল করার কৌশল নির্ধারণ, যশোর, বগুড়া ও ঢাকায় শুন্য আসনে উপনির্বাচন ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হয়ে বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠক সূত্র জানায়, ঢাকা সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোটকেন্দ্র দখল, কারচুপির পাশাপাশি বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতাকেও চিহিক্রত করেছেন নেতারা। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা, ভোটের দিন তাদের অনুপস্থিতিসহ ঢাকা মহানগর কেন্দ্রীক বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

একইভাবে ঢাকা দক্ষিণের বেশ কয়েকজন নেতারা ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন তারা। দলের এসব দূর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে কর্মকৌশল নিয়েও আলোচনা করেন নেতারা।

গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা মহানগর বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন তারা। তবে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনের লাভ-ক্ষতির সমীকরণ মিলিয়ে পরবর্তি উপ-নির্বাচনগুলোতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যশোর, বগুড়া ও ঢাকায় উপ-নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না তারা। বৈঠকে খালেদা জিয়ার দুই বছর কারাবাস উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশকে সফল করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কোনো কথা বলেননি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।