ফেলানী হত্যা মামলার শুনানি শুরু ভারতের সুপ্রিম কোর্টে

ফেলানী হত্যা মামলার শুনানি শুরু ভারতের সুপ্রিম কোর্টে

র্দীঘ পাঁচ বছর পর ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গুলিতে নিহত হওয়া বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলা আপিল শুনানির আবেদন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে।

শুক্রবার দেশটির শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি কে. এম. যোশেফ-এর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে।

এদিন মূলত সরকারের পক্ষের বক্তব্যই শোনা হয়। সরকারের তরফে আদালতে জানতে চাওয়া হয় যেহেতু এই মামলাটি নিম্ন আদালতে (বিএসএফ’এর নিজস্ব আদালতে) উত্থাপন করা হয়েছিল এবং সেখানে অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয়। সেখানে নতুন করে এই মামলার ফের শুনানির কোনো প্রয়োজন নেই।
সরকারের তরফে আরও জানানো হয়, নিহত ওই বাংলাদেশি কিশোরী বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হচ্ছিল, সেখানে বিএসএফ’এর তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।

আগামী ১৮ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। ওইদিন আদালতে বাদী পক্ষ তাদের বক্তব্য শোনাবে। এ দিন আদালতে বাদী পক্ষের হয়ে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজন ঘোষ।

ফেলানী খাতুনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ রুপি দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন (এনএইচআরসি) এর তরফে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যে নির্দেশ হওয়া হয়েছিল তা কেন পূরণ করা হয়নি তাও জানতে চায় শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সীমান্তে ফেলানী খাতুন নামে ১৫ বছরের এক বাংলাদেশি কিশোরী বাবার সাথে ভারতের দিল্লি থেকে বাংলাদেশ প্রবেশের পথে বিএসএফ এর গুলিতে মারা যায়।

ওইদিন সকাল ৮ টা নাগাদ বাবা নুর ইসলাম মই ব্যবহার করে কাঁটাতার পেরিয়ে গেলেও কাঁটাতারে জামা আটকে যায় ফেলানীর। আর্তনাদ শুরু করে দেয় ছোট্ট ফেলানি। তার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সেখানে ছুটে এসে বিএসএফ গুলি চালায়। আর তাতেই কাঁটাতারের ওপর মৃত্যু হয় ওই বাংলাদেশি কিশোরীর।

এরপর তার দেহ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশ আলোড়ন তুলেছিল দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে।