আজও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ যুবক নিহত

আজও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ যুবক নিহত

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ও ফেনীর সোনাগাজীতে আজও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

যশোর: যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুরুল হক ওরফে কেরু নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। নিহত নুরুল হক কেরু মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি গ্রামের মৃত মাজেদ গাজী বক্সের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বেগারিতলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
মণিরামপুর থানার এসআই শাহিনুর ইসলাম জানান, কেশবপুর থানার একটি টিম নুরুল হক কেরুকে নিয়ে তার সহযোগীদের ধরতে অভিযানে আসে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান কেরু। পরে লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর উপজেলার চিংড়াখালি এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাইকালে নুরুল হককে আটক করে স্থানীয় জনতা। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা। নুরুল হক একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ১০টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে কেরু তার সহযোগী ও অস্ত্রের তথ্য দেন। এরপর তাকে নিয়ে মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলায় অভিযানে যায় পুলিশ। কেশবপুর ও মণিরামপুর থানার যৌথ টিম তাকে নিয়ে বেগারিতলার সর্দারবাড়ি নার্সারির সামনে পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে নুরুল হকের সহযোগীরা। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন নুরুল হক কেরু। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে নুরুল হককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওসি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি ডাকাত দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈনুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা ২ জনকে উদ্ধার করে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখান থেকে লাশ ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এ সময় দেশীয় তৈরী ২টি একনলা বন্দুক ও ১ রাউন্ড তাজা গুলিসহ ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।