জুয়া খেলা বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা আপিল বিভাগে স্থগিত

জুয়া খেলা বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা আপিল বিভাগে স্থগিত

অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারাদেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি জুয়া খেলা বন্ধ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারাদেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই ১৩ ক্লাবের মধ্যে রয়েছে ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

জনস্বার্থে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুক। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জুয়াসহ অবৈধ ইনডোর গেম, যেমন- কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনও খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনও বিনিময়ে হয়ে থাকে, তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।

রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী যেকোনও ধরনের জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।