শাহ আমানত বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানার ৭ মাস ধরে বিকল

শাহ আমানত বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানার ৭ মাস ধরে বিকল

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও ৭ মাস ধরে নষ্ট হয় পড়ে আছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে করোনা ভাইরাস শনাক্তে কোন থার্মাল স্ক্যানার নেই।

ইউএনবি’র এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাণিজ্যিক এই নগরীর বন্দর ও বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। কিন্তু সাত মাস আগে এ স্ক্যানার মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ৫টি হ্যান্ডহেল্ড মেশিনই এখন আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটির স্ক্যানার ভরসা।

চলতি বছরের প্রথম দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০ জানুয়ারি থেকে সতর্কতা হিসেবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।

এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করলেও করোনা ভাইরাস শনাক্তে প্রতিদিন ৯ জন চিকিৎসক পালা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।

শাহ আমানত বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মাহমুদ আকতার বলেন, “চীন থেকে সরাসরি ফ্লাইট চট্টগ্রামে আসে না। তবে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান হয়ে আসা ফ্লাইটগুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিমানবন্দরে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। চিকিৎসক দলে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।”

চট্টগ্রাম বন্দরেও করোনা ভাইরাস শনাক্তে নেই কোনো থার্মাল স্ক্যানার। বিদেশি জাহাজগুলোতে থাকা নাগরিকদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রেখে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এমজে/