করোনায় শহর নিরাপদ রাখতে দিন-রাত ছুটে চলা তরুণদের গল্প

করোনায় শহর নিরাপদ রাখতে দিন-রাত ছুটে চলা তরুণদের গল্প

সবাই যখন আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে এ শহর থেকে ও শহর ছুটতে ব্যস্ত, তখন এক দল তরুণ ব্যস্ত শহর নিরাপদ রাখতে। তারাও ছুটছে, তবে আপনার আমার যাত্রা যেনো নিরাপদ হয়, যেন নিরাপদ থাকে আপনার সহযাত্রী, প্রতিবেশী, পরিবার। করোনা থেকে শহর নগর নিরাপদ রাখতে রাত-দিন ছুটে চলা তরুণদের গল্প ফুটে উঠেছে প্রতিবেদনটিতে।

সকাল থেকে আসা প্রতিটি ট্রেনেই দৌড়ে উঠে পড়া। যাত্রীদের উঠবার আগেই সব ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে তারুণ্যের এ যুদ্ধ। আরেক দল ব্যস্ত হাতে স্যানিটাইজার নিয়ে। বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে হাত ও প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক গেজেট জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

কোনো হাতই যেন অন্য যাত্রীর জন্য অনিরাপদ না হয়ে ওঠে সেই প্রচেষ্টায় রেলের কর্মীরাও।

স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, আমরা এখন গণপরিবহন, মসজিদ অথ্যাৎ যেখানে গণজমায়েত সেখানে গিয়ে গিয়ে সচেতন করছি। করোনা সক্রামণ ঠেকাতে আমাদের এ উদ্যোগ।

অনিরাপদ যাত্রা জেনেও দূরপাল্লার যাত্রীরাও এতে কিছুটা আশ্বস্ত। তবে বাসের যাত্রীদের জন্য নেই কোনো বিশেষ ব্যবস্থা।

বাসের যাত্রীরা বলছেন, সরকারের উচিত গণপরিবহন বন্ধ করা। আমাদের গণপরিবহনে আমরা কোনও ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারিনি।

 

এদিকে যখন ব্যস্ত শহরটি আতঙ্কে প্রায় স্তব্ধ, তখন দুরন্ত একটি ছোট ল্যাবরেটরি আর একদল তরুণ। বাজারে যখন করোনার জীবাণুনাশকের সঙ্কট, তখন তারা ব্যস্ত কীভাবে মানসম্পন্ন হ্যান্ড স্যানিটাইজার মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সে প্রচেষ্টায়।

স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, ৯৫ থেকে ৯৭ ভাগ ভাইরাস মুক্ত করতে পারে। আমরা নিজেরায় এটি তৈরি করছি।

এ তরুণদের কাজে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে সেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় নিজের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কারের কাজটি করতে হবে সরকারি-বেসরকারি, বাণিজ্যিক, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও-এমনই প্রত্যাশা তাদের।

এমজে/