‘মালিকরা কারখানা খোলা রেখেছে, করার কিছুই নেই’

‘মালিকরা কারখানা খোলা রেখেছে, করার কিছুই নেই’

নভেল করানোভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্যেই সাভার ও আশুলিয়ায় ভেঙে পড়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থাপনা। রবিবার পূর্ব ঘোষণা দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকরা তাদের কারখানা খুলে দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে হাজার হাজার মানুষকে বিচরণ করতে দেখা গেছে। তাদের অধিকাংশ ছিলেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। হাজার হাজার শ্রমিকদের পদচারণার কারণে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা যায় সাভার ও আশুলিয়ার নগর জীবন। ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দেখা গেছে অসংখ্য যানবাহন।

এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে শ্রমিকরা কারখানা অভিমুখে রওনা হওয়ায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ঘরে থাকা মানুষদের মাঝে। করোনা সংকটের মধ্যে বিভিন্ন পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শ্রমিকদের বাড়ি থেকে বের করার ফলে রোগ ছড়ানোর যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তাতে মানুষকে ঘরে থাকার সরকারি আহ্বান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। যে কারণে সকাল থেকেই সাভার এবং আশুলিয়ায় আইন অমান্য করার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

সরকার ঘোষিত ছুটি বাড়ানো হলেও অধিকাংশ শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ায় অঘোষিত লকডাউন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অধিকাংশ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত দিলেও সাভারে কীভাবে পোশাক কারখানা চালু হলো সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি শিল্পমালিকরা।

তবে শিল্প পুলিশের একটি সূত্র বলছে, রবিবার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ৯৮টি তৈরি পোশাক শিল্পের মধ্যে খোলা ছিল ৪৭টি আর সাভার-আশুলিয়ায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য এমন তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে খোলা ছিল ২৯৭টি।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শিল্প-পুলিশের একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শিল্প মালিকরা কারখানা খোলা রেখেছেন। হাজার হাজার শ্রমিকরা কারখানার উদ্দেশে পথে নেমেছে। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।’