বোরহান উদ্দিনে পরকীয়া প্রেমের কারণে মিতু নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যা

বোরহান উদ্দিনে পরকীয়া প্রেমের কারণে মিতু নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যা

ভোলার বোরহান উদ্দিনে পরকীয়া প্রেমের কারণে মিতু (২০) নামের এক গৃহবধূ গলায় ওড়না লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার স্বামীর নাম মো: সবুজ। আত্মহত্যাকারী মিতু (২০) বোরহানগঞ্জের পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাড়ির নাম আকুরদ্দিন ফরাজী বাড়ি। বাবার নাম ইব্রাহিম। মায়ের নাম ফেরদাউস।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে বোরহান উদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সলেমান ফরাজী বাড়িতে আত্মহত্যা করে মিতু। মিতুর লাশ ভোলাতে পোস্টমর্টেম করা হয়েছে।

মিতুর স্বামী সবুজের এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আত্মহত্যা করা মিতুর পরকীয়া প্রেম ছিলো। যার কারণে সে সবসময় তার স্বামী সবুজকে এড়িয়ে চলত। স্বামীকে মিতু গুরুত্ব দিতো না এবং স্বামী সবুজের সংসার করতে রাজি ছিলো না। বিয়ের শুরু থেকেই মিতু তার মন থেকে স্বামী সবুজকে মেনে নেয়নি। যার কারণে সে তার স্বামীকে অমান্য করে একাধিক ছেলেদের সাথে সম্পর্ক রাখতো।

এমতাবস্থায় বুধবার (৮ এপ্রিল) মিতুর বাবা-মা, মিতুর স্বামীর এলাকার স্থানীয় আলামিন মেম্বার, দেলু চকিদার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে সবুজের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠক করে। বৈঠকে মিতুর পরকীয়া প্রেম এবং অপকর্মের কথা জানতে পেরে মিতুর বাবা ইব্রাহিম ফরাজী লজ্জায় তাকে রেখে সালিশ থেকে চলে যেতে চান। তখন বাবা-মায়ের সাথে মিতুও তার বাপের বাড়িতে চলে যেতে চায়।

তখন মিতুর বাবা-মা তাকে বলেন, ‌‌‌‌‌‌‘তোর কারণে (মিতু-২০) আজ আমার মান-সম্মান কিছুই রইলো না। তোকে আমরা মেয়ে পরিচয় দিতে পারবোনা।’ এই কথা বলে তার বাবা-মা তাদের বাড়িতে চলে যেতে চায়। তখন মিতু তার বাবা-মাকে বলে- ‘আমাকে তোমাদের সাথে বাড়িতে না নিলে আমি (শশুড় বাড়িতে) এই বাড়িতে আত্মহত্যা করবো।’

তখন মিতুর বাবা-মা মিতুর কথা না শুনে তাকে শশুড় বাড়িতে রেখে চলে যায়। এই অভিমান এবং পরকীয়া প্রেমের কারণে মিতু বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যা করে।

এবিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সঞ্জয় দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাস্থলের আলামত দেখে পুলিশ বলছে মিতু গলায় ওড়না লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করা পুলিশ বলছে, ‘ঘটনাস্থলের আলামত দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে বোরহান উদ্দিন থানার ডিউটি অফিসার বলেন, এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন থানায় একটি নারী নির্যাতন আইনে মামলা (মামলা নাম্বার-৫) হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মিতুর শাশুড়ি বলেন, ‘মিতু আমার বড় ছেলের বউ। তাকে আমি সবসময় নিজের মেয়ের মতো করে দেখতাম। ওরে আদর স্নেহ করতাম। মিতু আত্মহত্যা করেছে তার আপন বাবা-মা’র সাথে অভিমান করে। যেখানে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা সেখানে উল্টো তারা আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে। একথার পর ‘আমার মিতু কই’ বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।’