রাজধানীর ৭০ এলাকাসহ করোনা ছড়িয়ে পড়েছে ৩৩ জেলায়

রাজধানীর ৭০ এলাকাসহ করোনা ছড়িয়ে পড়েছে ৩৩ জেলায়

রাজধানীর ৭০ এলাকাসহ দেশের ৩৩ জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)’র শনিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। এই অবস্থার মধ্যেও সুখবর আছে রাজশাহীর জন্য, এই বিভাগের কোনো জেলায় এখন পর্যন্ত কোরোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী ঢাকা শহরে ২৯৫ জন। এই শহরের ৭০টি এলাকায় কোভিড-১৯’র রোগী পাওয়া গেছে। আক্রান্ত এলাকাগুলো হলো, আদাব (১), আগারগাঁও (২), আশকোনা (১), আজিমপুর (২), বাবুবাজার (২), বাড্ডা (৩), বেইলি রোড (৩), বনানী (৭), বংশাল (৭), বাসাবো (১২), বসুন্ধরা (৪), বেগুনবাড়ি (১), বেড়িবাধ (১), বসিলা (১), বুয়েট এলাকা (১), সেন্ট্রাল রোড (৩), চকবাজার (৩), ঢাকেশ্বরী (১), ধানমন্ডি (১৪), ধোলাইখাল (১), দয়াগঞ্জ (১), ইস্কাটন (১), গেন্ডারিয়া (২), গ্রীন রোড (৫), গুলিস্তান (২), গুলশান (৪), হাতিরঝিল (১), হাতিরপুল (২), হাজারীবাগ (৪), ইসলামপুর (২), যাত্রাবাড়ি (১১), ঝিগাতলা (৩), কামরাঙ্গির চর (১), কাজী পাড়া (১) , কদমতলী (১), কোতোয়ালি (২), লালবাগ (১১), লক্ষ্মী বাজার (২), মালিবাগ (২), মানিকদি (১), মীর হাজারীবাগ (২), মিরপুর-১ (৫), মিরপুর -৬ (২), মিরপুর -১০ (৪), মিরপুর-১১ (১০), মিরপুর -১২ (৪), মিরপুর -১৩ (২), মিটফোর্ড (১), মগবাজার (২), মহাখালী (৩), মোহাম্মদপুর (১০), মুগদা (১), নারিন্দা (১), নিকুঞ্জ (১), পীর বাগ (২), পুরান পল্টন (২), রাজারবাগ (২), রামপুরা (১), সায়েদাবাদ (১), শাহ আলী বাগ (২), শাহবাগ (২), শান্তিনগর (২), সোয়ারি ঘাট (৩), শনির আখরা (১), তেজগাঁও (২), তোলারবাগ (১৯), উর্দু রোড (১), উত্তরা (১৫), ওয়ারী (১৩)।

ঢাকার বাইরের জেলা নারায়ণগঞ্জে ৯১, গাজীপুরে ১২, কিশোরগঞ্জে ১০, মাদারীপুরে ১৩, মানিকগঞ্জে ৫, মুন্সীগঞ্জে ১১, নরসিংদীতে ৪, রাজবাড়ীতে ৬, টাঙ্গাইলে ২, গোপালগঞ্জে ২, চট্রগ্রামে ৮, কুমিল্লায় ৮, বি-বাড়িয়ায় ৪, চাঁদপুরে ৪, রংপুরে ২, গাইবান্ধায় ৫, নীলফামারীতে ২, ময়মনসিংহে ৫, জামালপুরে ৩, শেরপুরে ২, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৮ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও কেরানীগঞ্জ, শরীয়তপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চুয়াডাঙ্গা, নেত্রকোনা, বরুগুনা ও পটুয়াখালীতে একজন করে রোগীর খোজ জানা গেছে।

এদিকে আক্রান্তের মধ্যে ৭০ শতাংশ পুরুষ ও ৩০ শতাংশ নারী। এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জন মারা গেলেও সুস্থ হয়েছে ৩৬ জন রোগী।

এই সংক্রমণ ঠেকাতে শনিবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে জাহিদ মালিক সকলকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত কষ্ট করে বাড়িতে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করেছে।

এমজে/