প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারিতে লকডাউনের কারণে হোটেলে থাকার অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ায় গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ছয়জন বিদেশি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
গত শনিবার ভারতের উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশের কাছের এক গুহা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওই ছয়জনের মধ্যে তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ। ইউক্রেন থেকে এসেছেন দুজন। বাকিরা তুরস্ক, আমেরিকা, ফ্রান্স এবং নেপালের বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, গুহাতেই গত কয়েক দিন তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন। লকডাউনের কারণে তাদের হাতে টাকা-পয়সা আর অবশিষ্ট ছিল না।
ওই ছয়জনের নেতৃত্বে থাকা রাজেন্দ্র সিং কাটাইথ জানিয়েছেন, বিদেশিরা তাদের সঙ্গে থাকা সব জিনিসপত্র নিয়েই গুহাবাসী হয়ে থাকছিলেন। কাঠ জ্বালিয়ে নিজেদের খাবার তৈরি করছিলেন। পানির জোগান আসছিল গঙ্গা থেকেই। এভাবেই কয়েকটা দিন কেটেছে।
বিদেশিরা জানান, ২৪ মার্চ থেকেই হোটেল ভাড়া করে থাকার মতো টাকা ছিল না তাদের। ফলে বিকল্প উপায় ছিল একমাত্র গুহায় থাকা।
রাজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ওই ৬ জন প্রায় দুমাস আগে এসেছিলেন হৃষিকেশে। লকডাউনের প্রথম পর্বেই গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা।
এখন তাদের কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯-এর পরীক্ষারও হয়েছে। আশার কথা, প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ধারণা, প্রায় ৬০০-৭০০ জন বিদেশি এখনো হৃষিকেশে আটকে রয়েছেন। যে যার দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন নিজেরাই। দূতাবাসের দায়িত্বেই তারা ফিরে যাবেন নিজেদের দেশে।
