লকডাউন ভেঙ্গে ষাঁড়ের লড়াই

লকডাউন ভেঙ্গে ষাঁড়ের লড়াই

লকডাউন অমান্য করে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেয়ায় দু’জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় লড়াইয়ে অংশ নেয়া একটি ষাঁড়ও জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে এই সাজা দেয় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ইউপি মেম্বার রফিক মিয়া ও গরু ব্যাবসায়ী রেনু মিয়া। এ ঘটনায় রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ইউএনও।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী করোনার প্রভাবে জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হলেও তা অমান্য করে মঙ্গলবার বিকেলে ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করে মেম্বার সহ স্থানীয়রা। গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের ডেংবাড়ি’র সামনে খেলার মাঠে এই লড়াইকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় গণ জমায়েতের। এতে গ্রামের উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। খেলা শুরুর দিকে ওই গ্রামের সুজন মিয়া ও মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক এর দুটি ষাঁড়ের লড়াই শুরু হতেই মাঠের চারপাশে ভীড় করেন উৎসুক জনতা। খবর পেয়ে বিভিন্ন গ্রাম থেকে দর্শক আসতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে শতাধিক লোকজন এসে হাজির হয়। আর এই লড়াই খেলার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক মিয়া সহ বেশ কয়েকজন।

খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার (ইউপি সদস্য) রফিক মিয়া ও গরু ব্যবসায়ী রেনু মিয়াকে আটক করে। পরে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইউপি মেম্বারকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।

এদিকে রাতেই অভিযান চালিয়ে লড়াইয়ে অংশ নেয়া একটি ষাঁড় জব্দ করা হয়। অপর ষাঁড়টি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ইউএনও।

 

এ ঘটনায়র সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন অমান্য করে গণ জমায়েত করা একটি বড় ধরনের গর্হিত অপরাধ। সেইসাথে লড়াইকে ওয়ান কাউন্ড অব জুয়া খেলা বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এমন অপরাধের আরো বড় সাজার জন্য উর্ধ্বতন বরাবরে লিখিত পঠানো হবে। পাশপাশি এ ধরনের ঘটনা কেন দেখেননি ইউপি চেয়ারম্যান সেজন্য রাতেই কারণ দর্শানোর নেটিশ পাঠানো হয়েছে।

এমজে/