ভোলার মনপুরা উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর জেলেদের চাল বিতরণের অনিয়ম করায় সাময়িক বরখাস্থ হয়েছে। এরপর থেকে স্থানীয়দের উপর বিনা কারণে হামলা চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আলাউদ্দিন।
তিনি আরো জানান, আলমগীর চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এ ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দ নিজে লুটপাট করে খাচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন।
তার বরখাস্থর ঘটনা স্থানীয়দের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে এরুপ অত্যাচার করে যাচ্ছেন আলমগীর ও তার বাহিনীরা। এতে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসী। এঅবস্থায় আলমগীর ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
এদিকে মনপুরা উপজেলার পূজা উর্যাপন কমিটির সহ-সভাপতি গোপাল চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু নেতা বিনা কারণে আলমগীর চেয়ারম্যানের বানিহীর হাতে মারধরের শিকার হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত হিন্দু নেতা গোপাল চন্দ্র দাস জানান, শুক্রবার (১ মে) সন্ধ্যায় তিনি রামনেওয়াজ আওয়ামী লীগ অফিসে স্থানীয় এক জনের সাথে কথা বলছিলেন। ওই সময় বরখাস্থকৃত আলমগীর চেয়ারম্যানের ভাই মিজান, সাহাবুদ্দিন, সালামসহ কয়েকজন তার জামার কলার ধরে সাবেক চেয়ারম্যানের আলাউদ্দিনের লোক বলে লাঠি দিয়ে এলোপাতালো মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় নিজাম উদ্দিনের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
তাকে প্রথমে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সে গুরুতর অবস্থায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার পর বরখাস্থকৃত চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করে। এঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়ে আলমগীর চেয়াম্যানের বিচারের দাবি করেন।
এ বিষয়ে মনপুরা থানার ওসি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ও বরখাস্থকৃত চেয়ারম্যান আলমগীদের সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। ওই সময় গোপালও আহত হয়। এঘটনায় আলমগীর হোসেন ২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে সে মামলার আসামী গোপালকেও করা হয়। তবে গোপাল কোন অভিযোগ করতে চাইলে আমরা গ্রহণ করবো এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।