লকডাউন শিথিলের পর বদলে গেছে বাংলাদেশ

লকডাউন শিথিলের পর বদলে গেছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের চেহারা হঠাৎ করেই বদলে গেছে। ছুটি বা লকডাউন অনেকটা অদৃশ্য। গণপরিহন ছাড়া এখন সব ধরণের যানবাহন রাস্তায় বের হয়েছে। সচল হয়েছে আরিচা ফেরিঘাট। শত শত মানুষ গাদাগাদি করে ঢাকামুখী হচ্ছেন। ১০ই মে থেকে শর্ত সাপেক্ষে দোকানপাট খোলার কথা ছিল। সেদিন পর্যন্ত কেউ অপেক্ষা করেনি। কাঁচাবাজার শুধু নয় অনেক দোকানপাট চালু হয়ে গেছে। বেশ কিছু মার্কেটের সামনে ভিড় বেড়েছে। চেনা রাজধানী এক মাস অচেনা হয়ে পড়েছিল। ছিল না কোন যানজট।

সোমবার বিকেল থেকে রাস্তায় যানজট বেড়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি নেই।

এই যখন অবস্থা তখন বাংলাদেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৯২৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের স্থান এখন ৩৭তম। ঢাকা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে গত চার দিনে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল। বাকিরা করোনা ভাইরাস নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান গত চার দিনে ৩০২ জন রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে ৫৫ জনের করোনা পজিটিভ। ৭ জনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আক্রান্ত হওয়ায় ফাঁড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী থেকে শুরু করে অনেক কর্মকর্তা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। এই সময়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বেশী।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১১৫০ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচ জন। চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১২০০ জন। এর মধ্যে চিকিৎসক ৫৭৪ জন। মারা গেছেন ২ জন।