দিদার ও মিনহাজ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি সাধারণ ছুটির পর

দিদার ও মিনহাজ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি সাধারণ ছুটির পর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় দিদারুল ইসলাম (৩৯) ও মিনহাজ মান্নান ইমনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের রিমান্ড শুনানি সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির পরে হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রমনা থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জামশেদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে হাজির করেন। এদিন মামলার মূল সিডি (কেস ডকেট) না থাকায় বিচারক সাধারণ ছুটির পরে শুনানি হবে আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের এ আদেশ দেন।’

বুধবার (৬ মে) তাদের বাড্ডা ও বনানী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব-৩। র‌্যাব-৩ অপারেশন অফিসার এএসপি জাফর রাষ্ট্রচিন্তা নামে একটি সংগঠনের সংগঠক দিদারুল ও ইমনের গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

৫ মে রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক। মামলায় আরও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ মে) রাতে র‌্যাব পরিচয়ে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার নিজ অফিস থেকে দিদারুল ইসলামকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। সে সময় তার অফিসের দুটি সিপিইউ, একটি ল্যাপটপ এবং একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার (৬ মে) সকালে তাকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।