ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা দেয়ার নির্দেশ

ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা দেয়ার নির্দেশ

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সব ধরনের সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ দাতা ও সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। এর আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী, ঋণ সহায়তাসহ অন্যান্য সহযোগিতা দেবে।

সূত্র জানায়, এ নির্দেশনার আলোকে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে সক্ষমতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ খরচ করবে। এসব অর্থ খরচের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এ মুহূর্তে কোনো অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই। পরে সুবিধাজনক সময়ে অনুমোদন নিতে হবে।

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদেরও সেখান থেকে ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী ঋণ দেয়া হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা ৪ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ পাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ পাবে ৯ শতাংশ সুদে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপকূলীয় ১৪ জেলায় ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা এলাকায় মাছের ঘের; বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলায় মৎস্যজীবী, কক্সবাজার এলাকায় লবণ চাষীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

আর্থিক খাতের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) নিয়ন্ত্রণ করে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে, সমবায় অধিদফতর নিয়ন্ত্রণ করে সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এছাড়া যেসব সরকারি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

জাতীয় দুর্যোগ সংক্রান্ত নীতিমালার আলোকে সব প্রতিষ্ঠানকেই নির্দেশ দেয়া আছে, দুর্যোগের সময় বা এর পরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী সহায়তা করতে হবে। এ নির্দেশের আলোকে তারা এ সহায়তা করার প্রস্তুতি নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগেই বলা হয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআরের অর্থ থেকে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় যেসব ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেগুলো থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার পিকেএসএফের পর্ষদ সভা হয়েছে। ওই সভায় তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী সময়ে সদস্যদের মধ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দ্রুত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংস্থাটি দেশের উপকূলীয় ও চরাঞ্চলের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে। তাদের ২০২টি প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার শাখা রয়েছে।

এমআরএর ক্ষুদ্রঋণ মিনিটরিং সেল থেকেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এমজে/