সরকার ঝুঁকির মধ্যেও ‘অফিস-আদালত-গণপরিবহন’খুলে দিচ্ছে: রিজভী আহমেদ

সরকার ঝুঁকির মধ্যেও ‘অফিস-আদালত-গণপরিবহন’খুলে দিচ্ছে: রিজভী আহমেদ

করোনাভাইরাসের বিস্তারের ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত অগ্রাহ্য করে সরকার ‘অফিস-আদালত-গণপরিবহন’ খুলে দিচ্ছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

শুক্রবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘অফিস-আদালত, গণপরিবহন চালু করা যেন মৃত্যুর মিছিলকেই আলিঙ্গন করা। মানুষের জীবন বাঁচাতে যখন লকডাউন, আইসোলেশন ও ঘরবন্দি থাকার কথা তখনই মৃত্যুদূত করোনাকে আমন্ত্রণ জানাতে জানালা-দরজা খুলে দিয়েছে।’

‘দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে সরকারের একগুয়েমিতে খুলে দেয়া হচ্ছে সবকিছু। চারিদিকে নিরন্ন মানুষের হাহাকার, বিপন্ন মানুষের আর্তনাদ ও চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষ গুমরে গুমরে কাঁদছে।’

দেশে স্বাস্থ্য সেবার পরিস্থিতি তুলে ধরে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে তুরস্কের এক নাগরিক পরিবারসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তুরস্ক সরকার নিজ দেশে নিয়ে গেছে।

‘সরকারি ও বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই চিকিৎসা না পেয়ে সবাই সিএমএইচ এর দিকে ছুটছে। যাদের সামর্থ্য নেই তাদের লাশ পড়ে থাকছে রাস্তাঘাটে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন বিএনপির কোনো না কোনো নেতাকে গুম অথবা মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে যাতে কেউ এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও মতপ্রকাশ করতে না পারে সেজন্য চলছে গুম, হয়রানি ও জেল-জুলুম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হিড়িক চলছে।’

গত দুই মাসে সাংবাদিকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার ৫ শতাধিক কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মানুষের জবান বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা সরকারকে সর্তক করতে দিতে চাই, করোনাভাইরাস শুধুমাত্র র‌্যাব-পুলিশের মতো বিরোধী দল মতকে দমন করতেই আসেনি বরং সরকার যেভাবে ঢিলেঢালা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাইছে তাতে সকলেরই ভয়ের কারণ আছে।’

দেশের কারাগার ও রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সংক্রামণের ‘হটস্পটে’ পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিজভী। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়াল এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।