অবশেষে মিনিয়াপোলিসের সেই তিন পুলিশ কর্মকর্তার ঠাঁই হল জেলে

অবশেষে মিনিয়াপোলিসের সেই তিন পুলিশ কর্মকর্তার ঠাঁই হল জেলে

জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুশিল কর্মকর্তা ডেরেক শভিনও ছাড়াও অপর তিন কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। টানা ১০ দিন চলমান আন্দোলনের মুখে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে তারা আদালতে হাজির হলে জামিন নামঞ্জুর করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়।

গার্ডিয়ান জানায়, বৃহস্পতিবার ফ্লয়েডকে হত্যার সহযোগিতার দায় মাথায় নিয়ে দুপুরের পর আদালতে হাজির হন তিন অভিযুক্ত পু্লিশ কর্মকর্তা। পরে আদালত তাদের হেনেপিন কাউন্টি জেলে পাঠায়। এর আগে পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনওকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় ডেরেক শভিনের সঙ্গে থাকা অপর তিন পুলিশ কর্মকর্তা- টমাস লেইন, আলেকজান্ডার কুয়ং ও টু থাওয়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করা হয়। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা এতে সন্তুষ্ট হয়নি। চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগ আনার দাবি তুলে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন তারা।

তদন্ত শেষে বুধবার ওই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অপরাধের অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। শভিন ছাড়া বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরস্ত্র ফ্লয়েডকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালতে পেশ করা মামলার নথিতে শভিনের বিরুদ্ধে মিনেসোটা রাজ্য আইনে খুনের তিনটি ধারার মধ্যে সবচেয়ে কম গুরুতর থার্ড-ডিগ্রি মার্ডার ও পরিস্থিতির দাবি ছাড়াই মানব হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল, কিন্তু নতুন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর সেকেন্ড-ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে শভিনের সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

শভিনের সঙ্গে থাকা অপর তিন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সেকেন্ড-ডিগ্রি মার্ডারে সহযোগিতা ও পরিস্থিতির দাবি ছাড়াই মানব হত্যায় সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদেরও সর্বোচ্চ ৪০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

ঘটনায় সূত্রপাত্র মিনিয়াপোলিসে ২৫ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গ্রেফতারের সময় ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে রাস্তার সঙ্গে প্রায় ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে ধরে রাখেন শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশের ওই বর্বরতার দৃশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা ভিডিওতে ঘটনাটি ধরা পড়ে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ ১০ দিনে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২৫ মে ফ্লয়েডকে হত্যা করা হলে রাত থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের প্রথম দিন থেকে বৃহস্পতিবার (১০ দিন) পর্যন্ত ১০ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।