তাপপ্রবাহ কেটে গেছে, ভারী বর্ষণের আভাস

তাপপ্রবাহ কেটে গেছে, ভারী বর্ষণের আভাস

টানা সাতদিন পর কাটলো তাপপ্রবাহ। একইসঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা)। ফলে ভারী বর্ষণের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে।

এই অবস্থায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ফলে হ্রাস পেতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাড়ছে ঝড়ো হাওয়ার প্রবণতাও। ঢাকায় দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার থাকবে, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।

শনিবার নাগাদ পুরো দেশের আকাশ ছেয়ে যেতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আগামী মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।

এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে। তাই কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সব ধরনের মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

ভারী বর্ষণের আভাস থাকলেও চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ে ভূমি ধসের শঙ্কা নেই। অন্যদিকে নদীবন্দরের জন্যও কোনো সতর্কতা দেখাতে বলেনি আবহাওয়া অফিস।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা-গঙ্গার পানির সমতল স্থিতিবস্তায় রয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারা ব্যতিত মেঘনা অববাহিকার প্রধান-প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমজে/