সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি ও বড়াল নদীর পানিও। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৫টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষগুলো বাড়িঘর ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (ডিডি) মোঃ হাবিবুল হক জানান, জেলার বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলায় ১১ হাজার ১৭ হেক্টর জমির পাট, বাদাম, তিল ও আখসহ বিভিন্ন সবজির ফসল বন্যার পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, জেলায় ইতিমধ্যে ১৭৯টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ১৩টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা সদরে এবং প্রতিটি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

এমজে/