এখনো জুনের বেতন হয়নি ৪৬১ পোশাক কারখানায়

এখনো জুনের বেতন হয়নি ৪৬১ পোশাক কারখানায়

পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৯২৬টি তৈরি পোশাক কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৬৫টির মালিক তাদের শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন। অবশিষ্ট ৪৬১টি কারখানার শ্রমিকরা এখনো জুন মাসের বেতন-ভাতা পাননি। গতকাল শুক্রবার বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত তাদের সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৯২৬টি কারখানার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় রয়েছে ৩৩৩টি। এর মধ্যে জুন মাসের বেতন-ভাতা দিয়েছে ২৬০টি প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের ৭১৩টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৫৭৬টি, সাভার-আশুলিয়ায় ৪১২টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৩২৩টি, নারায়ণগঞ্জের ১৯৮টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ১৫৭টি, চট্টগ্রামের ২৫২টি কারখানার মধ্যে ১৩৫টি এবং প্রত্যন্ত এলাকার ১৮টি কারখানার মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে। সব মিলিয়ে জুন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে চালু থাকা ৭৬ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৪৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তবে এখনো ৪৬১টি অর্থাৎ ২৪ শতাংশ কারখানার মালিক তাদের শ্রমিকদের জুনের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেননি। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের

কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান ওই প্যাকেজ থেকে সুদবিহীন সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তহবিল থেকে ঋণ পেতে এরই মধ্যে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৩৭০টি এবং বিকেএমইএর সদস্য ৫১৯টি কারখানার মালিক আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে বিকেএমইএর ৯৯ সদস্যের আবেদন বাতিল হয়েছে। যদিও ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগ অর্থই ঋণ হিসেবে পেয়েছেন পোশাকশিল্পের মালিকরা। ফলে দুই মাস ধরে শ্রমিকদের বড় একটি অংশের মজুরি হচ্ছে প্রণোদনার টাকায়।

তবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে চলমান সংকটে শ্রমিক-কর্মচারীদের আরও তিন মাসের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য বিশেষ ঋণ চেয়েছেন পোশাক শিল্পের মালিকরা। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দেয় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

এসব বিষয়ে বিজিএমইএর স্ট্যান্ডিং বডির চেয়ারম্যান (মিডিয়া) মনিরুল আলম শুভ বলেন, যেসব কারখানায় এখনো জুন মাসের বেতন হয়নি তা এই মাসের মধ্যেই হবে। অচিরেই আমাদের সদস্যভুক্ত সব কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

এমজে/