‘মন্ত্রণালয়ের কাজে বাইরের কী ধরনের চাপ? স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্পষ্ট করতে হবে’

‘মন্ত্রণালয়ের কাজে বাইরের কী ধরনের চাপ? স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্পষ্ট করতে হবে’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে বাইরের চাপের বিষয়ে বতর্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার আ.ফ.ম. রুহুল হক। তার সময়ে কোন চাপ ছিল না বলেও জানান তিনি। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ্য লোক বসানোর দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বলেই মনে করেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।

করোনাকালে দেশের স্বাস্থ্যখাতে যখন ঘটে চলেছে একের পর তুঘলকি কাণ্ড, তখনো বরাবরই সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এসেছেন মন্ত্রী।

এক মাসেরও বেশি সময় পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোন কর্মসূচিতে এসে দুটো বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। দাবি করেন মন্ত্রণালয়ের কাজে বাইরে থেকে নানা চাপ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রথমত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে বাইরে থেকে নানা চাপ থাকে, হস্তক্ষেপ করা হয়। দুই: কাজের জন্য যোগ্য লোককে যোগ্য জায়গায় বসানো উচিত। যেখানে কোন প্রকার বাধা থাকবে না। তাহলে আমরা কাজ আরো ভালো করবো।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হকের কাছে গণমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, এ ধরনের কোন চাপ তার সময়ে ছিল কি না?

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক বলেন, কিসের চাপ, আমি জানি না। আরও পরিষ্কার করে যদি তিনি বলতেন যে, খারাপ মাস্ক কেনার চাপ দিলে, খারাপ পিপিই নিতে হবে সেটার জন্য! আমার বোধগম্য নয়। চাপ দেশের না দেশের সরকারের মধ্যে নানা মন্ত্রীর, না পলিটিক্যাল পার্টির- আমি জানি না।

দায়িত্বপূর্ণ পদে বসানোর উপযুক্ত ব্যক্তিকে বসানোর কাজটা বর্তায় কার ওপর?

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, দেশের বেশিরভাগ পোস্টিং নিয়ম মেনে হয় না। এটা রাজনীতি ও বিভিন্ন সুপারিশে হয়। এ দুর্যোগে সব চাপ সামলে নিতে মন্ত্রণালয়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মনে করেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।