বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ২২ দিনেই জামিন পেলেন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ২২ দিনেই জামিন পেলেন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চের একের পর এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার। পুরোনো ছবি

গ্রেপ্তারের ২২তম দিনেই জামিন পেলেন বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে ৩৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ।

বুধবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ সৈকত হোসেন চৌধুরীর ভার্চ্যুয়াল আদালত এ আসামির জামিন আদেশ দিয়েছেন।

ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আব্দুল মান্নান ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামিন শুনানিতে মোসাদ্দেকের আইনজীবী বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন মোসাদ্দেক লঞ্চে ছিলেন না। তবুও গত ৯ জুলাই থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘লঞ্চের মালিক হিসেবে এই দুর্ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। সুতরাং তার জামিন নামঞ্জুর করা হোক।’

এর আগে গত ৮ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলাবাগান থানা এলাকার সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ জুলাই এ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১২ জুলাই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

প্রসঙ্গত গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন ৩০ জুন রাতে নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাটিতে লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও সুকানি মো. নাসির মৃধা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন। লঞ্চের সহকারি মাস্টার জাকির হোসেন, ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং গ্রিজার হৃদয়ও কারাগারে রয়েছেন।